নিজেকে অনুপ্রাণিত করার অজানা কিছু কৌশল

নিজেকে যে ছয়টি উপায়ে অনুপ্রাণিত করবেন -

পরিপাটি নিজেকে দেখে অুনপ্রাণিত হতে পারেন। পরিপটি নিজেকে দেখে হতে পারেন।

ছবি: অধুনাপ্রিতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবে ব্যায়াম করবেন বলে ছয় মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রত্যয়টি কোনভাবে বাস্তবের মুখে দেখছে না। আগামীকাল দেখিয়ে দেব ভেবে ঘুমাতে যান হয়তো,আর ঘুম ভাঙলে সব প্রত্যয় উবে যায়।

কিভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করা যায়,তা নিয়ে এবারের আয়োজন।

অনুপ্রেরণার  আজ এরকম,কাল আরেক রকম। আপনি যদি অভ্যাস তৈরি করতে পারেন তাহলে ব্যায়াম থেকে শুরু করে প্রতিদিন যেকোন কাজ করতে পারবেন।

প্রতিদিন যদি অনুপ্রেরণার জোরে ভোর পাচটায় ওঠার পরিকল্পনা করেন, তাহলে কোনো কোনো দিন নাও ঘম ভাঙতে পারে। ভোরের একটু বৃষ্টি আর বিছানা ওম ছেড়ে ওঠা কি এত সহজ? উল্টো দিকে আপনি যদি অভ্যাস আর নিয়মে অনুরক্ত হন তাহলে রোদ-বৃষ্টি-শীত কোনো কিছুই আপনাকে সকালে উঠতে আটকাতে পারবে না।একই পরিবেশে সব সময় থাকতে থাকতে অজান্তে নিজেকে বষাদরে চক্রে আটকে ফেলি । নিজেকে অনুপ্রণিত করতে দীর্ঘদিন ধরে একই পরিবেশে না থকে চারপাশে নতুন কিছু তৈরি করুন। নিজের ঘরটিকে ভিন্নভাবে গুছিয়ে নিন। অফিসের কাজের টেবিলকে একটু এদিক-সেদিক করে নিজের চারপামে নতুন পরিবেশ আমাদের মস্তিস্কে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। আগ্রহ আর মনের জোর  বাজাতে পরিবেশ বদলে নিন।

পোশাকে মনোযোগ দিনমনের দুর্বলতা আর বিষণ্নতাকে প্রভাবিত করে আমরা কি পারছি তার উপর । কোন রঙের পোশাক পরিছ, কোন ধরনের পোশাকে নিজেকে আয়নার সামনে দেখ তা আমারদের অবচেতন মনের ওপর প্রভাব ফেলে । নিজেকে সামাজিক কোনো অবস্থানে ছোট মনে হলে পোশাক পরিবর্তন করুন। আপনাকে যে পোশাকে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়, তাই পরে নিজের মনেরে উপর জোর বাড়ান।

অনপ্রেরণার  গল্প থেকে শিহ্মা নিন অন্যদের ব্যর্থতা  থেকে নিজের জন্য কী শিহ্মা হতে পারে , তা ভাবার চেষ্টা করুন গল্পের পেছনের মুল ভাবনা কীভাবে আপনাকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে, তা নিয়ে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর চেষ্টা করুন। ছোট ছোট লহ্মে  এগিয়ে যান।এক দিনে ২০ মাইল দৌড়ানো কি সম্ভব? হুট করেই এক দিন এমন দীর্ঘ পথ দৌড়ানো যেমন অসম্ভব, তেমনি একদিনে  এক হাজার পৃষ্ঠা উপন্যাস লেখা ও অসম্ভব। আপনি যদি প্রতিনি ২০ মিনিট করে লেখা দৌড়ানোর অভ্যাস করেন, তাহলে একদিন ২০ মাইল ছাপিয়ে যেতে পারেন। ছোট ছোট লহ্ম্য ঠিক করে প্রতিদিন একটু একটু করে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন।

হয়তো ঘড়ির কাটায় ঠিক ভোর ছয়টা বাজলে আ্যালার্মের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করছেন। উল্টোভাবে চেষ্টা করে নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা করুন। রাতে এমন সময় ঘুমান যেন ভোর ছয়টায় আপনার এমনিতেই ঘুম ভেঙে যায়। সময়কে নিজের জন্য আয়ত্ত করতে শিখুন।  

                                                                                                         

                                                                                                     ( বাস্তব শিহ্মা থেকে সংগৃহিত)  
 ONLINE BANGLA SITE / 05 July 2018